অরুণাচল সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনাদের সংঘর্ষ

অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে বিতর্ক বহুদিনের । ফাইল ছবি: রয়টার্স

ভারতের অরুণাচল সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনারা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। গত শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিভাজনকারী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) এ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর দুই দেশের সেনারা নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে।

ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত ভারতীয় সংবাদপত্র দ্য ট্রিবিউন সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের দাবি, চীনের সেনারা ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়লে তাদের সেনারা বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পূর্ব লাদাখে রক্তক্ষয়ী এক সংঘর্ষের আড়াই বছরের বেশি সময় পর দুই দেশের সেনারা আবারও সংঘর্ষে জড়ালেন।

পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ২০২০ সালের জুনে। এতে ভারতের ২০ সেনা নিহত হন। এ ছাড়া চীনের ৪০ সেনা হতাহতের দাবি করে ভারত। এ নিয়ে দুই দেশের সেনাদের একাধিক লড়াই হয়।

ওই সময় গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর ভারত ও চীনের সেনারা মুখোমুখি অবস্থান নেন। সীমান্তে সেনা সমাবেশ করে দুই দেশ। এতে সামরিক সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি হয়। এরপর দুই দেশের সামরিক বাহিনীর কমান্ডারদের মধ্যে বৈঠক হয়। পরবর্তী সময়ে বৈঠক হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী, দুই দেশই সীমান্ত থেকে সেনা সরাতে শুরু করে।  

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও অরুণাচল সীমান্তে গত শুক্রবারের সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। নয়াদিল্লি বলেছে, ‘সংঘর্ষের পর সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরানোর লক্ষ্যে ওই এলাকায় নিয়োজিত ভারতীয় সেনা কমান্ডার এবং চীনের সেনা কমান্ডারদের মধ্যে এ নিয়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে।

কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় বিজেপি

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলাটি শুনানির জন্য সোমবার আদালতে তোলা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষ শুনানির জন্য সময় চাইলে আদালত আজ (মঙ্গলবার) শুনানির দিন নির্ধারণ করছেন। আগামী মার্চে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর আবেদনে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারক দ্বারা পঞ্চায়েত নির্বাচন তদারক করা হোক। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস হিংসা ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। তাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতা।

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেছেন, ২০১৮ সালে রাজ্যের ত্রিস্তরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের নির্বাচনী কৌশল ভুল ছিল। সেই ভুল শুধরিয়ে এবার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে চায় তৃণমূল। গত ১৩ অক্টোবর কোচবিহারে তৃণমূল আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী উৎসবে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.