ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৬

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশটিতে সবচেয়ে বড় আকারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবারের হামলায় ১৬ জন নিহত এবং আরও ডজনখানেক আহত হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দক্ষিণ ও পশ্চিম কিয়েভের আবাসিক ভবনেও হামলা চালানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

শহরটির সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে, কিয়েভের একটি ক্ষতিগ্রস্ত গুদামের ধ্বংসাবশেষের নীচে দশজন লোক আটকা পড়েছে। এছাড়ও হামলায় দিনিপ্রো শহরে একটি প্রসূতি ওয়ার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে গভর্নর জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা কিয়েভের মিত্রদেরকে সমর্থন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আজ, লাখ লাখ ইউক্রেনীয় বিস্ফোরণের বিকট শব্দে জেগে উঠেছে। আমি চাই ইউক্রেনের সেই বিস্ফোরণের শব্দ যেন সারা বিশ্বে শোনা যায়।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় দুই বছর। চলতি বছরও শেষ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভের ভবিষ্যত নির্ধারণের জন্য পশ্চিমা সামরিক ও আর্থিক সহায়তার মাত্রা কেমন হবে বা আদৌ সহায়তা তাদের দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই দেশটিতে বড় মাপের বিমান হামলা চালিয়েছে মস্কো।

রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘রাশিয়া তার অস্ত্রাগারে যা কিছু আছে তা নিয়ে আক্রমণ করেছে… প্রায় ১১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এসবের বেশিরভাগই গুলি করে ধ্বংস করা হয়েছে।’

এদিকে রাশিয়ার সর্বশেষ হামলার পর ওদেসা, খারকিভ, নিপ্রোপেত্রোভস্ক ও কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চল বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয়। দেশটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের হামলা চালানোর জন্য রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করছে বলে কয়েক সপ্তাহ ধরেই আশঙ্কা করছিল কিয়েভ সরকার। গত বছর শীতকালেও ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বড় ধরনের হামলা চালিয়েছিল রুশ বাহিনী। এতে বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন দেশটির লাখ লাখ মানুষ।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.