কক্সবাজার জেলা আ.লীগের সম্মেলন ঘিরে সাজ সাজ রব, ভোটে নেতা বাছতে চায় তৃণমূল

সাত বছর পর কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে সভামঞ্চ

সাত বছর পর কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। সকাল সাড়ে ১০টায় সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টের কাছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে এর সূচনা হবে। এ উপলক্ষে শহরে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ৪০৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের সুযোগ চান আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জেলার ১১টি সাংগঠনিক উপজেলার (কক্সবাজার সদর উপজেলা, কক্সবাজার পৌরসভা, ঈদগাঁও, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, পেকুয়া ও মাতামুহুরি) নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে সকালে স্টেডিয়ামে সম্মেলন হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আরও থাকবেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিল হবে কেন্দ্রীয় নেতাদের তত্ত্বাবধানে। তাঁরাই জেলা কমিটির যোগ্য নেতা নির্বাচনে কাউন্সিল অধিবেশন পরিচালনা করবেন।

দলের কয়েক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। ওই দিন কেন্দ্র থেকে সিরাজুল মোস্তফাকে সভাপতি ও মুজিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের কমিটি দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর কমিটির সভাপতি সিরাজুল মোস্তফাকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক করা হয়। সভাপতির দায়িত্ব পান কমিটির সহসভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।

দলের নেতারা বলছেন, ৭ ডিসেম্বর শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনার জনসভায় কয়েক লাখ মানুষের সমাগমে নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত। শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে দলের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সাংগঠনিক তৎপরতা বেড়েছে। চাঙাভাব ফিরে আসে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মনে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কাউন্সিলর বলেন, দ্বিতীয় অধিবেশনে তাঁরা কাউন্সিলরদের গোপন ভোটাভুটির মাধ্যমে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করতে চান। কিন্তু এ সুযোগ একেবারেই সীমিত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। আগের মতোই কেন্দ্র থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।

বর্তমানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১০ নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জনের নাম আলোচনায় আছে।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.