কলা চুরির অপবাদ দিয়ে কলেজছাত্রকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার একটি বাগানের কলা চুরির সন্দেহে এক কিশোরকে (১৬) জানালার গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার দুপুরে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার একটি গ্রামে ওই কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের একটি খামারে মাছ চাষ করা হয়। সেখানে কলার বাগানও আছে। সেই বাগানের কলা চুরির সন্দেহে ওই কিশোরকে আটক করে একটি ভবনের জানালার গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছেন খামারটির তত্ত্বাবধায়ক মো. সামিউল হক। পরে স্থানীয় লোকজন ওই কিশোরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই কিশোর বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে কিশোরকে একটি পাকা ঘরের জানালার গ্রিলের সঙ্গে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাঠি দিয়ে পেটানো হচ্ছে। একজন নারী ওই নির্যাতনকারীকে থামানোর চেষ্টা করছেন। তারপরও ওই কিশোরকে উপর্যুপরি পেটানো হচ্ছিল। আরও কয়েকজন সেখানে উপস্থিত থাকলেও নির্যাতনকারীকে তাঁরা থামানোর চেষ্টা করেননি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের মধ্য থেকে কেউ একজন মুঠোফোনে দৃশ্যটি ধারণ করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে মো. সামিউল হক পলাতক আছেন। গণমাধ্যমকর্মীরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে কাউকেই পাননি। এর ফলে এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ওই কিশোর সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে, সে ওই খামার থেকে কোনো কলা চুরি করেনি। অহেতুক সন্দেহের বশে জানালার গ্রিলের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। লম্বা একটি লাঠি দিয়ে তার দুই পা ও সারা শরীরে পেটানো হয়েছে। এ ঘটনায় সে বিচার চায়।
ইসলামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বলেন, এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে আজ সকালে দেখতে পাই। তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।