বরই দিয়ে ইফতার করেন, আঙ্গুর-আপেল লাগবে কেন: শিল্পমন্ত্রী
আসন্ন রমজানে আঙুর–আপেলের পরিবর্তে বরই–পেয়ারা দিয়ে ইফতারের পরামর্শ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
সোমবার দুপুরে ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে এমন পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের অভাবের অভিযোগ তো আছেই। সবকিছুতে তো আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। ফলমূল তো বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, সেগুলো আপনাদের বুঝতে হবে। বরই দিয়ে ইফতার করেন না কেন? আঙুর লাগবে কেন, আপেল লাগবে কেন, আমাদের দেশে কি আর কোনো ফল নেই। দেশীয় ফল বরই, বেলের শরবত, শসা, পেয়ারা ইত্যাদি দিয়ে ইফতারির প্লেট সাজান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের চেয়ে বড় জিআই আর হয় না। যেটি বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন। দেশের উৎপাদিত পণ্যগুলো বিশ্বমানের করতে হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে, জেলা প্রশাসকেরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছেন। প্রতিটি এলাকার জেলা প্রশাসকদের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলো জিআই করার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। তাঁরা আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।
অধিবেশন শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দেড় লাখ টন চাল আগামী ১০ মার্চের মধ্যে বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, আগে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত চলত। সামনে রমজান মাস শুরু হচ্ছে। এ অবস্থায় কর্মসূচিটি ১০ মার্চের মধ্যে শেষ করব। এ সময়ের মধ্যে আমরা ডিলারদের মাধ্যমে দেড় লাখ টন চাল বিতরণ করব। ৫০ লাখ পরিবার ১৫ টাকা করে ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবে। এতে বাজারে কী ধরনের প্রভাব পড়বে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাজার থেকে ৫০ লাখ লোক এক মাস চাল কেনা বন্ধ করলে অবশ্যই বাজারে প্রভাব পড়বে। মজুতবিরোধী চলমান অভিযানে সহায়তা করতে ডিসিদের বলে দেওয়া হয়েছে।