স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন, সংসদে বিল পাস

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির আপত্তি সত্ত্বেও দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করতে সংসদে বিল পাস হয়েছে। মঙ্গলবার মাত্র ২৪ মিনিটের মধ্যে বিল পাসের প্রক্রিয়া শেষ হয়। মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ জাপার তিন এমপি আইনটি স্থায়ীকরণের বিরোধিতা করে বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি সরকারের আমলে এই আইনটি প্রথমবার পাসকালে জাতীয় পার্টিসহ তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ এর বিরোধিতা করেছিল। এরপর পর্যায়ক্রমে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হলেও বর্তমান সরকার আইনটি স্থায়ী রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। তবে বিরোধীদের এই আপত্তি কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।    

‘আইন–শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল, ২০২৪ পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব এবং সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব চুন্নুসহ মাসুদউদ্দিন চৌধুরী এবং হাফিজ উদ্দিন আহেম্মদ।

বিলে বলা হয়েছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাকালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র ক্রয়, বিক্রয়, গ্রহণ বা দাখিলে জোরপূর্বক বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ (২০০২ সালের ১১ নম্বর আইন) প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির জন্য এই আইনটি মেয়াদান্তে পুনঃ পুনঃ সময় বৃদ্ধি না করে স্থায়ীভাবে আইনে পরিণত করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে এবং বিভিন্ন ধরনের গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সার্বিক আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ শীর্ষক বিলটি জাতীয় সংসদে আনা হয়েছে।

বিলটি পাসের আগে বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনায় অংশ নিয়ে এটিকে কালো আইন হিসেবে অভিহিত করেন। এই আইন স্থায়ী করা হলে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকবে না তখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে বলেও বিরোধী দলের সদস্যরা জানান।

তবে এই আইনের উদ্দেশ্য ভালো জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আইনটি কখন আনা হয়েছিল তা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। শান্তির পরিবেশ তৈরির জন্য আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.