এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের এক কেজি মিষ্টি আনতে স্কুলের নোটিশ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে সদ্য এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের এক কেজি করে মিষ্টি নিয়ে আসার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে নানা আলোচনা চলছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের ‘ঐতিহ্য’ হিসেবে আনন্দ অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষার্থীদের মিষ্টি আনতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর সেন্ট মার্থাস উচ্চবিদ্যালয় নামে শ্রীমঙ্গলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজ থেকে ১২ মে (রবিবার) একটি নোটিশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘সেন্ট মার্থাস উচ্চবিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে আগামী সোমবার (গতকাল) পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থী, শিক্ষকমণ্ডলী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আনন্দ করা হবে। কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ১ কেজি করে মিষ্টি নিয়ে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।’

এক কেজি মিষ্টি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে কেউ হাস্যরস করেন, কেউ আবার সমালোচনা করেন। এবার ওই স্কুল থেকে ৬৬ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৬৩ জন পাস করেছে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন। 

এদিকে, সোমবার বিদ্যালয়ের এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের আনা মিষ্টি দিয়ে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মিষ্টিমুখ করিয়েছেন তারা। বিদ্যালয়ে হয়েছে আনন্দ উৎসব।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিস্টার রিক্তা গমেজ বলেন, আমরা প্রতিবছরই পাস করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে পুরো স্কুলে আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। পাস করা শিক্ষার্থীরা তাদের জুনিয়রদের মিষ্টিমুখ করিয়ে যায়। এটা আমাদের স্কুলের ট্রাডিশন। এবারও সবাই আনন্দ নিয়েই মিষ্টি এনেছে। কেউ তো এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীলিপ কুমার বর্ধন বলেন, এভাবে নোটিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মিষ্টি নিয়ে আসার নিয়ম নেই। এই বিষয়টা স্কুল কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে দেওয়ায় মানুষ সমালোচনা করছেন। স্কুলে শিক্ষার্থীরা পাস করলে এমনিতেই মিষ্টি নিয়ে যায়। এভাবে ফেসবুকে নোটিশ দিয়ে মিষ্টি নিয়ে আসার নির্দেশনা দেওয়া স্কুল কর্তৃপক্ষের ঠিক হয়নি। আমাদের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাও বিষয়টি জানতে পেরে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টির ব্যাখ্যা চেয়েছে। আমি কিছুক্ষণ আগেও স্কুলের হেড টিচারের সঙ্গে কথা বলেছি। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাকে আজই এই ঘটনার লিখিত ব্যাখ্যা দেবে।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.