তারেককে দেশে এনে সাজা কার্যকর করব: শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের আদালতে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সে (তারেক) যেখানেই থাকুক, ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করব।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে গণভবনে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন একটিই কাজ, ওই কুলাঙ্গারটাকে ফেরত নিয়ে আসা। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি, সাজাপ্রাপ্ত, গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি, সাজাপ্রাপ্ত, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। সে (তারেক জিয়া) যেখানেই থাকুক, আমরা তাকে নিয়ে আসব। ইতোমধ্যে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, ওই সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক জিয়াকে যেন ফেরত দেয়। আমরা তাকে নিয়ে এসে সাজা কার্যকর করব।  

তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদ ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ওই কুলাঙ্গারটার সাজা কার্যকর করতে পারলে এ দেশের মানুষ ওই জঙ্গিবাদ-অগ্নিসন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্তি পাবে। তারা ২০১৩, ১৪ ও ২০২৩ সালে যে অগ্নিসন্ত্রাস ও জ্বালাও-পোড়াও করেছে, তা থেকে মানুষ মুক্তি পাবে।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি, যারা বিদেশে পলাতক, তাদেরও ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করা এবং দেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি ও দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখাই আমার লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা সেভাবে কাজ করছি।  

নিজ নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, তাদের জবাব দিতে হবে। সেই দায়িত্বটাও নিতে হবে আমার নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়া টুঙ্গিপাড়ার মানুষকে। যে যেখানে আছে, এটি সবার কাছে প্রচার করতে হবে। এটি খুবই দরকার।  

তিনি বলেন, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যদি আমাকে সাহায্য না করতেন, তাহলে আমি এত কাজ করতে পারতাম না। আমি নিশ্চিত, আমার এলাকা নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই, আপনারা আছেন, আমি দেশের জন্য কাজ করি।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.