বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি না দিলে নেতাকর্মীদের নিয়ে তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির উদ্যোগে ‘দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে’ তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়া গণতন্ত্র কল্পনা করা যায় না। তাকে অন্যায়ভাবে ৬ বছর কারাগারে বন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছে। তাকে মুক্তি না দিলে সরকারের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভয়ে মরা নয়, সাহস করে লড়াই করুন। পরিবর্তন করতে হলে তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। আওয়ামী লীগ দখলদার সরকার। তারা দেশকে ও দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতাকে ধ্বংস করছে। কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশে আজ আইনের শাসন নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই, বাক-স্বাধীনতা নেই, মানবাধিকার নেই, জীবনের নিরাপত্তা নেই। এখানে অন্যায়-অনিয়ম আজ নিয়মে-আইনে পরিণত হয়েছে। কেউ কথা বললে গুম হতে হয়, খুন হতে হয়। নেতাকর্মীদের জেলখানায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করতে হয়। সেই দেশে কি শুধু প্রতিবাদ করে আমরা বের হতে পারব, না। এখানে প্রতিরোধ এখন কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়ার জীবনকে তিলে তিলে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের সংগ্রাম শুরু হলো। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকার রাজপথ প্রকম্পিত করতে হবে। মুক্তির মিছিল শুরু হলো।

এ সময় নেতাকর্মীদের নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে সমস্বরে স্লোগান তুলেন দুদু।