ডিএমপি কমিশনার বললেন প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকির মাত্রা বেশী

সারাবিশ্বে যতো বড় রাজনৈতিক নেতা আছেন তারমধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তিনি সবসসয়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এমনটাই বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। সেসব সামনে রেখেই সকল খুঁটিনাটি বিষয় মাথায় রেখে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগদান করবেন, সারাদেশ থেকে লাখের বেশি নেতাকর্মী অংশ নেবেন। এখানকার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে, ত্রুটি বিচ্যুতি আছে কিনা সেটি পর্যবেক্ষণ করতে আমরা এসেছি।

আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রীর সবসময়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। ইতোপূর্বে তার অনেকবার জীবন নাশের চেষ্টা হয়েছে, আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এজন্য আমরা তার নিরাপত্তাটাকে সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকি।

তিনি বলেন, সম্মেলনের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আমাদের ফোর্স ডিপ্লয়মেন্ট করেছি। আমাদের এসবি-র‌্যাবসহ সকলে মিলে এই ভেন্যুতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। প্রতিটি গেইটে আর্চওয়ে স্থাপন করা হবে, পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি।

এছাড়া, আমাদের ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে চারদিকে সুইপিং ও ম্যানুয়াল সুইপিং করা হবে। সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

নিরাপত্তায় থ্রেট রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা জানেন বিশ্বে যতো বড় রাজনৈতিক নেতা আছেন তার মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি রিস্কে। ৭১ এর পরাজিত শক্তিরা বার বার তার জীবন নাশের চেষ্টা করেছে। অনেকগুলো প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, টুঙ্গিপাড়ায় বোমা হামলাসহ আরো অনেক ঘটনা রয়েছে। সেগুলোকে সামনে রেখে আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধিকরাসহ সব বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি।

দুই জঙ্গি ছিনতাই, নতুন জঙ্গি সংগঠনের উত্থান ও রাজনৈতিক উত্তাপ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট আছে বলে মনে করি না। জঙ্গি দুজন ছিনতাই হয়েছে এরপর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমরা বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ওই জঙ্গিদের বেশ কয়েকয়েকজন সহযোগী এবং অন্য গ্রুপের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি জঙ্গিদেরও আমরা নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে পেরেছি, তাদেরকেও গ্রেফতার করতে পারবো। তাই আশা করি জঙ্গিদের তরফ থেকে কোনো থ্রেট থাকবে না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সামাজিক মাধ্যম মনিটরিং করার সিস্টেম আছে। আমাদের ডিবিতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট, সিটিটিসিতে সাইবার ইউনিট রয়েছে। অন্যান্য সংস্থারও সামাজিক মাধ্যম মনিটরিং করার সিস্টেম আছে। আমরা মনিটরিং করে যাচ্ছি। আশা করবো সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে কেউ সমাজে কোনো অস্থিরতা তৈরি করতে পারবে না।

ডিএমপি কমিশনার বললেন প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকির মাত্রা বেশী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারাবিশ্বে যতো বড় রাজনৈতিক নেতা আছেন তারমধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তিনি সবসসয়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এমনটাই বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। সেসব সামনে রেখেই সকল খুঁটিনাটি বিষয় মাথায় রেখে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগদান করবেন, সারাদেশ থেকে লাখের বেশি নেতাকর্মী অংশ নেবেন। এখানকার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে, ত্রুটি বিচ্যুতি আছে কিনা সেটি পর্যবেক্ষণ করতে আমরা এসেছি।

আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রীর সবসময়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। ইতোপূর্বে তার অনেকবার জীবন নাশের চেষ্টা হয়েছে, আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এজন্য আমরা তার নিরাপত্তাটাকে সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকি।

তিনি বলেন, সম্মেলনের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আমাদের ফোর্স ডিপ্লয়মেন্ট করেছি। আমাদের এসবি-র‌্যাবসহ সকলে মিলে এই ভেন্যুতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। প্রতিটি গেইটে আর্চওয়ে স্থাপন করা হবে, পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি।

এছাড়া, আমাদের ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে চারদিকে সুইপিং ও ম্যানুয়াল সুইপিং করা হবে। সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

নিরাপত্তায় থ্রেট রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা জানেন বিশ্বে যতো বড় রাজনৈতিক নেতা আছেন তার মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি রিস্কে। ৭১ এর পরাজিত শক্তিরা বার বার তার জীবন নাশের চেষ্টা করেছে। অনেকগুলো প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, টুঙ্গিপাড়ায় বোমা হামলাসহ আরো অনেক ঘটনা রয়েছে। সেগুলোকে সামনে রেখে আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধিকরাসহ সব বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি।

দুই জঙ্গি ছিনতাই, নতুন জঙ্গি সংগঠনের উত্থান ও রাজনৈতিক উত্তাপ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট আছে বলে মনে করি না। জঙ্গি দুজন ছিনতাই হয়েছে এরপর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমরা বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ওই জঙ্গিদের বেশ কয়েকয়েকজন সহযোগী এবং অন্য গ্রুপের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি জঙ্গিদেরও আমরা নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে পেরেছি, তাদেরকেও গ্রেফতার করতে পারবো। তাই আশা করি জঙ্গিদের তরফ থেকে কোনো থ্রেট থাকবে না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সামাজিক মাধ্যম মনিটরিং করার সিস্টেম আছে। আমাদের ডিবিতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট, সিটিটিসিতে সাইবার ইউনিট রয়েছে। অন্যান্য সংস্থারও সামাজিক মাধ্যম মনিটরিং করার সিস্টেম আছে। আমরা মনিটরিং করে যাচ্ছি। আশা করবো সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে কেউ সমাজে কোনো অস্থিরতা তৈরি করতে পারবে না।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.