যারা দিনের ভোট রাতে করে, বিএনপি তাদের সঙ্গে খেলে না: গয়েশ্বর রায়

যারা দিনের ভোট রাতে করে, বিএনপি তাদের সঙ্গে খেলে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে দেখা যাবে কে কত খেলতে পারেন।’

দেশব্যাপী গায়েবি ও মিথ্যা মামলা, পুলিশি নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন। বরিশাল নগরের সদর রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ হয়। এতে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা যোগ দেন।

গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ অন্য কোথাও নয়, পল্টনেই হবে। আমরা পল্টনেই সমাবেশ করব। কিন্তু সরকার অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সঙ্গে শর্ত দিয়েছে ২৬টি।’ তিনি বলেন, ‘সমাবেশে কোনো জেলার কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। বিএনপি কোনো অবস্থান ধর্মঘট দেয়নি। শুধু সমাবেশ দিয়েছি আমরা। কিন্তু সরকারের তাতেই ভয়।’

গয়েশ্বর রায় আরও বলেন, ‘বিএনপি কিছু গোপনে করে না। করার প্রয়োজনও হয় না। আমরা যা করি বা করব, তা সরাসরি করব। বলে দেব কোন দিন কী হবে। আমাদের দাবি স্পষ্ট, ভোটের অধিকার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি গুম–খুনের বিচার। এটা এখন আর বিএনপির দাবি নয়, দেশের সব মানুষের দাবি।’

সরকারকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ থেকে আমাদের দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী আপনারা পদত্যাগের প্রস্তুতি নেবেন। হয় পদত্যাগ করবেন, নয়তো বাধ্য করব। আপনাদের পদত্যাগে বাধ্য করব আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, জনগণের ভোটাধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। যাঁরা দেশকে পৈতৃক সম্পত্তি মনে করেন, তাঁদের সরাতে হবে।’

বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহাবুবুল হকসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

বক্তারা বলেন, জনগণ বুঝে গেছে, সরকার ভয় পেয়ে এখন জনগণ ও বিএনপিকে ভয় দেখাচ্ছে। মানুষ ফুঁসে উঠেছে। তার প্রমাণ মিলেছে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ফরিদপুর, কুমিল্লা ও রাজশাহীর গণসমাবেশে। তাঁরা বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে দুবার নির্বাচন করেছে, ২০১৪ আর ২০১৮ সালে। ২০১৪-তে কেউ ভোট দিতে যায়নি। ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। আর ২০১৮-তে আগের রাতেই ভোট শেষ। এই ফ্যাসিস্ট সরকার আবারও এমন নিশিরাতের ভোট করে ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু এই অবৈধ সরকারকে তা ভুলে যেতে হবে। কারণ, দেশের জনগণ এখন আর একমুহূর্ত এই বিনা ভোটের সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

সরকার দেশের লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ব্যাংকগুলো শূন্য হয়ে গেছে, রিজার্ভ নেই। বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার ফাঁকা বুলি এখন ফাঁস হয়ে গেছে। এত দিন দেশকে সিঙ্গাপুর বানানোর গল্প শুনিয়ে এখন দুর্ভিক্ষের গল্প শোনাতে শুরু করেছে।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.