আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে জনস্রোত
ঢাবি এলাকায় জনস্রোত
প্রায় তিন বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন । শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল সাড়ে ১০টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে আজ শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলে দলে আসছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর পদচারণে পুরো এলাকায় একটি উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনে প্রায় ২১ হাজার কাউন্সিলর ও প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নিরাপত্তা তল্লাশির মাধ্যমে আগত নেতা-কর্মীদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। সম্মেলনে যোগ দিতে টাঙ্গাইল থেকে আসা শেখ মোহাম্মদ সাদেক বলেন, তাঁর প্রত্যাশা, দল আরও সুসংগঠিত হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে।
অনুষ্ঠানসূচি অনুসারে, সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলন উপলক্ষে নেতা কর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেমেছে জনতার ঢল। প্রাণকেন্দ্র ঢাকা থেকে শুরু দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছে আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা শাখার নেতাকর্মীরা।
সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশের রাস্তায় প্রচুর মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই ভোর থেকেই অবস্থান নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। সেখান থেকেই তারা সম্মেলনস্থলে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের খেলার মাঠ, ও মল চত্বরসহ সব খালি জায়গা এখন বাস, কার ও ট্রাক দিয়ে পরিপূর্ণ।
এবারের সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় তুলে ধরা হবে। সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’।