বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উদ্ভব-বিকাশের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলা একাডেমি: সেলিনা হোসেন
শুক্রবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একাডেমির সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয় । ছবি: সংগৃহীত
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেছেন, বাংলা একাডেমি দেশ ও জাতির গর্ব, অহংকারের প্রতীক এবং সবার প্রাণের প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উদ্ভব ও বিকাশের সঙ্গে বাংলা একাডেমি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে।
শুক্রবার বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৪৫তম বার্ষিক সভায় সেলিনা হোসেন এ কথা বলেছেন। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন। বাংলা একাডেমি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বাংলা একাডেমি সাম্মানিক ফেলোশিপ-২০২২ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি পরিচালিত¾কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার (দ্বিবার্ষিক পুরস্কার)-২০২২, সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কার-২০২২, অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ নাট্যজন পুরস্কার-২০২২, সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার-২০২২ প্রদান করা হয়।
বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ–২০২২ প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক (শিক্ষা), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান (বিজ্ঞান), অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন (চিকিৎসা), নাসির আলী মামুন (আলোকচিত্রশিল্প), হামিদুজ্জামান খান (ভাস্কর্য/চিত্রকলা), জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় (সংস্কৃতি) ও ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (সমাজসেবা)। পাশাপাশি কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার-২০২২ পেয়েছেন ছড়াকার সিরাজুল ফরিদ, সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কার-২০২২ পেয়েছেন গবেষক ড. রাজিয়া সুলতানা, অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ নাট্যজন পুরস্কার-২০২২ পেয়েছেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ এবং সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার-২০২২ পেয়েছেন গবেষক ড. ইসরাইল খান।
অনুষ্ঠানে পুরস্কার ও ফেলোশিপপ্রাপ্ত গুণীজনদের হাতে পুরস্কারের অর্থমূল্য, সম্মাননাপত্র, সম্মাননা-স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
বাংলা একাডেমির সাধারণ সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক-প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি সাম্প্রতিক সময়ে অবকাঠামো এবং গবেষণাগত বিপুলসংখ্যক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অনন্য উত্তরাধিকার বাংলা একাডেমি অতীত, বর্তমান ও আগামীর মধ্যে সেতুবন্ধ নির্মাণের কাজ করে চলেছে।