আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করা লাগে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে তাদের ভোটে নির্বাচিত হয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা মানুষের জন্য কাজ করেছি, মানুষ আমাদের ভোট দেয়। সেটা হচ্ছে বাস্তব কথা। কাজেই এখানে আমাদের ভোট চুরি করাও লাগে না, ভোট কোনো কিছু করাও লাগে না।’

গণভবনে আজ বুধবার আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘জনগণের সেবা করে জনগণের আস্থা অর্জন করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ কিন্তু অন্যভাবে কখনো ক্ষমতায় আসে নাই। সব সময় ভোটের মাধ্যমে এসেছে।’ 

জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের বিষয়ে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘অনেক চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেও হবে। কারণ, একটা দেশ এত দ্রুত এত উন্নতি করুক—অনেকে তো এটা চায় না। কাজেই তারা তাদের দিক থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করেই যাচ্ছে।’

সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা—এটা যেন অব্যাহত থাকে, সেটা মাথায় রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা (বিএনপি) এখন মাইক লাগিয়ে সারা দিন বসে কথা বলে সত্য-মিথ্যা দিয়ে। তাদের তো ক্ষমতায় আসাই হচ্ছে বন্দুকের নলে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে। এ জন্য জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করে।’

২০০৮-এর নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে নির্বাচন নিয়ে তো কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে নাই। তাদের অবস্থান তো সেখানেই নির্দিষ্ট। তারপরও আমরা দেশে উন্নয়নের কাজ করেই দেশকে এত উন্নতি করতে পেরেছি। আজকে আমরা এটাই শুকরিয়া আদায় করি।’ 

সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে দলটির সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সংগঠনটা আরও শক্তিশালী হবে—সেটা আমরা চাই। আর আগামী নির্বাচনও আমাদের সামনে, সেটা মাথায় রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। কাজেই আমরা জাতির পিতার সেই আদর্শ মেনেই দেশ এবং দেশের মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’ 

দেশের দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষ কমেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল একনেকে আমাদের পরিকল্পনামন্ত্রী সারা বাংলাদেশে সার্ভে রিপোর্ট পেশ করলেন। সেখানে বললেন, আমাদের দারিদ্র্যসীমা যেটা ২০০৬ সালে ৪১ ভাগ ছিল, আজকে সেটা ১৮ ভাগে নেমে এসেছে। তো আমি বললাম আরও দুই-তিন ভাগ যাতে তাড়াতাড়ি কমাতে পারি দারিদ্র্যের হার, সেটা আমরা চেষ্টা করব। আর অতি দারিদ্র্যের হার যেটা প্রায় ২৫ ভাগ ছিল, সেটা ৫ ভাগে নেমে এসেছে। এটা মাথায় রেখে আমাদের আরও সামনে কাজ করতে হবে দেশের মানুষের জন্য। যে একটা মানুষ গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না।’

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.