দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যানদাউস’ ভারতের তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার রাতে সেখানে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর না হলেও এর প্রভাবে দেশজুড়ে শীত জেঁকে বসার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে এবং তীব্র শীত অনুভূত হবে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপ আকারে ভারতের তামিলনাড়ুতে অবস্থান করছে। এবার পুরোপুরিভাবে শীত পড়া শুরু করবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কাওসার পারভিন এর আগে জানিয়েছিলেন, এ মাসে দেশের নদী অববাহিকায় ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

“ডিসেম্বরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। মাসের শেষার্ধে কোথাও কোথাও ১-২টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কিংবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।”

শুক্রবার দেশের সর্ব উত্তরের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে; ঢাকায় ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।”

বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে এটি উত্তর তামিলনাড়ুর উপকূল অতিক্রম করার পর আরও দুর্বল হয়ে শনিবার সকাল ৬টায় গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছিল। তবে ঘূর্ণিঝড়টির একটা বর্ধিতাংশ এখনও উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে যেটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হবে।

সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী এ ঘূর্ণিঝড় নাম দেওয়া হয়েছে ‘ম্যানদাউস’; সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রস্তাবিত আরবি ভাষার শব্দটির অর্থ গুপ্তধনের সিন্দুক।

বাংলাদেশে এর তেমন প্রভাব না পড়ার শঙ্কা আগেও জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস।