প্রথমবারের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে চালু হলো ইন্টার্নশিপ
নীতিমালা জারির পর প্রথম প্রথমবারের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে চালু হলো ইন্টার্নশিপ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নশিপে আগ্রহী এক হাজার ৯৪ জন প্রার্থীর আবেদন থেকে বাছাই করা ১০ জনকে এখানে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হলো সেন্টার অব এক্সিলেন্স। ইন্টার্নরা এখান থেকে নিবিড়ভাবে কাজ শিখতে পারবেন। যা আগামী দিনে পেশাগত চিন্তাভাবনা পরিপূর্ণ ও পরিপুষ্টভাবে গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, ইন্টার্নরা এখান থেকে রাষ্ট্র ও প্রশাসন কীভাবে চলে, সেই ধারণা অর্জন করতে পারবেন। ব্যবসার ক্ষেত্রেও এটির প্রয়োজন আছে। রাষ্ট্রের কাজগুলো এখান থেকে কীভাবে হচ্ছে, সেটাও জানতে পারবেন।
ফরহাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা সাধারণত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করে থাকেন। এবার সরকারি প্রতিষ্ঠানেও সেটা চালু করা হয়েছে। আমি মনে করি, এটা বড় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেসব শিক্ষার্থী স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তারা দুই বছরের মধ্যে এই ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ইন্টার্নদের অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডের ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট গবেষণা কার্যক্রম, ডিজিটাল রেকর্ড ব্যবস্থাপনা এবং এই মন্ত্রণালয় ও দফতরের কার্যাবলী এই তিন ক্যাটাগরিতে তাদের কর্মবণ্টন করা হবে। এ ছাড়াও রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ সম্পর্কে তাদের ধারণা দেওয়া হবে। তাদের জন্য শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হবে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও মেগাপ্রকল্প সম্পর্কেও তাদের ধারণা দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, দেশের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুগোপযোগী ও অভিজ্ঞ মানবসম্পদ সৃষ্টি, পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটানোর সুযোগ রেখে গতবছরের ২২ অক্টোবর ইন্টার্নশিপ নীতিমালা-২০২৩ এর গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
নীতিমালা অনুযায়ী, ইন্টার্ন প্রতিমাসে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ ভাতা প্রাপ্য হবে। ভাতা ছাড়া ইন্টার্ন অন্য কোনো ভাতা বা সুবিধা প্রাপ্য হবে না। ভাতা প্রাপ্তির প্রাক্কালে প্রতিমাসে ইন্টার্নকে তার সন্তোষজনক কর্মকালের বিষয়ে সুপারভাইজারের কাছ থেকে প্রত্যয়ন সংগ্রহ করতে হবে।