গ্যাস সরবরাহ কবে থেকে স্বাভাবিক হবে, জানালেন প্রতিমন্ত্রী

চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন এবং আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘বাজেট পরবর্তী’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেপ্টেম্বরে বড় বন্যা হলে আমাদের কী প্রস্তুতি থাকা দরকার, আমরা সেটা নিয়ে ভাবছি। ভবিষ্যতে এই ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার কাজ চলছে। বাংলাদেশ ৭০০’র মতো নদীর দেশ। এখানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখা কঠিন কাজ। আমরা চেষ্টা করছি, এখন পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আগামী ১৫-১৬ জুলাইয়ের দিকে গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এদিকে আদানিও বিদ্যুৎ দেওয়া শুরু করেছে। 

গ্যাসের স্বল্প চাপ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঝড়ের কারণে আমাদের একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী ১৪ থেকে ১৫ জুলাই টার্মিনালটি পুনরায় গ্যাস সরবরাহ করলে গ্যাসের সমস্যার সমাধান হবে।

ঝড় ও বন্যার কারণে বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থার বিপুল পরিমাণ ক্ষতির কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৩০ হাজার পোল বিনষ্ট হয়েছে। সিলেট অঞ্চলে বন্যার কারণে সব কটি সাবস্টেশন পানির নিচে চলে গেছে। আমরা এসব বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থা সাজানোর চেষ্টা করছি। যাতে গ্রাহককে ঝড় ও বন্যার মধ্যেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ ঘাটতি নিয়ে এক প্রশ্ন জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বেড়েছে। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সরবরাহ আরও বাড়বে। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে গ্রিন এনার্জি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর পরিকল্পনা রয়েছে, সরকারের। তবে মোলার প্ল্যান্টের জন্য দেশে জমি পাওয়া কষ্টকর। কারণ সব জমিতেই চাষাবাদ হয়। তাই চাষাবাদ ঠিক রেখে এই প্ল্যান্ট কীভাবে করা যায় সেটাও ভাবছে সরকার।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.