কে হতে পারেন টুইটারের প্রধান নির্বাহী

টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক । রয়টার্স

টুইটারের নতুন মালিক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে কর্মীদের পাশাপাশি জনপ্রিয় তারকাসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ টুইটার ছাড়ছেন। টুইটারে প্রায় অর্ধেক কর্মী বিনা নোটিশে ছাঁটাই করায় ইলন মাস্কের হাতে খুদে ব্লগ লেখার সাইটটি নিরাপদ নয় বলেও মনে করেন অনেকে। আর তাই ব্যবহারকারীদের মতামত জানতে সম্প্রতি জনমত জরিপ করেছেন ইলন মাস্ক। জরিপে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট অনুসারীদের (ফলোয়ার) কাছে তিনি জানতে চান, ‘আমার কি টুইটারপ্রধান হিসেবে পদত্যাগ করা উচিত? এ জরিপে যে ফলাফল আসবে, তা–ই আমি মেনে নেব।’ জরিপে অংশ নেওয়া ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যক্তিই ইলন মাস্ককে টুইটারের সিইও পদে দেখতে চান না বলে রায় দেন।

টুইটারে ইলন মাস্কের অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি ২০ লাখ। এর মধ্যে ১ কোটি ৭৫ লাখ অনুসারী জরিপে অংশ নেন। ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট বিপক্ষে পড়ায় প্রায় এক কোটি অনুসরণকারীই চান না মাস্ক টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে দায়িত্ব পালন করুক। জনমত জরিপের ফলাফল মেনে নেওয়ার আগাম ঘোষণা দেওয়ায় প্রযুক্তি বিশ্বে টুইটারের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে হবেন, তা নিয়ে চলছে জল্পনাকল্পনা। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে টুইটারের নতুন প্রধান নির্বাহী পদে সম্ভাব্য ব্যক্তিদের এক তালিকা প্রকাশ করেছে।

সিএনএনের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারী জেসন ক্যালাকানিসের নাম। গত এপ্রিলে মাস্ক টুইটার কেনার প্রস্তাব দেওয়ার পরপরই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমার স্বপ্নের কাজ।’ তবে গত রোববার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, ‘টুইটার চালানোর মতো পাগল কে?’ তালিকায় থাকা দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছেন ডেভিড অলিভার স্যাক্স। আফ্রিকান বংশোদ্ভূত স্যাক্স মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা, লেখক ও বিনিয়োগকারী। পেপ্যালের প্রতিষ্ঠানকালীন প্রধান পরিচালনা কমর্কতাও ছিলেন তিনি। স্যাক্সের পর টুইটারের সম্ভাব্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নাম আসা ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃশ্নানও একজন মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। স্ন্যাপচ্যাট ও ফেসবুকের মুঠোফোন পণ্য বিভাগের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।

টুইটারের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও তাঁর সরকারের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারও দায়িত্ব নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনেক টুইটার ব্যবহারকারীর মতে, টুইটারের অন্যতম বিনিয়োগকারী সৌদি আরবের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে জ্যারেড কুশনারের। আর ট্রাম্পও ইলন মাস্কের বেশ পছন্দের ব্যক্তি। ফলে শেষমেশ জ্যারেড কুশনারের হাতেই টুইটার পরিচালনার দায়িত্ব দিতে পারেন ইলন মাস্ক।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.