আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস আজ

প্রকৃতির অপরূপ দান পাহাড়-পর্বত সুরক্ষা করে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আজ পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’। প্রতিবছর ১১ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও টেকসই ভবিষ্যতকে সামনে রেখে জাতিসংঘ ২০০৩ সালের ১১ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১৬ সাল থেকে জাপানে দিবসটি উদযাপনে রাষ্ট্রীয় ছুটি থাকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি।

আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, বিশালতা আর দৃঢ়তার প্রতীক পর্বত পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার অন্যতম উপাদান। প্রতিবারের মতো এবারও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তর ২০০১ সালের ১১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস ধারণাটির সূচনা করে। পরবর্তীতে, ২০০২ সালে টেকসই পর্বত উন্নয়ন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সমস্যাগুলির বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক পর্বত বর্ষকে চিহ্নিত করা হয়। ২০০২ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ১১ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস হিসেবে চূড়ান্ত করে। এ সময় টেকসই পর্বত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। 

এরপর ২০০৩ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রথম আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস পালন করা হয়। প্রতি বছর, এই দিনটির জন্য একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। এগুলোতে মিষ্টি পানি, শান্তি, জীববৈচিত্র্য বা জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে আলোকপাত করে।

পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ২৭ শতাংশ জুড়ে রয়েছে পর্বতমালা। মানবজাতির আনুমানিক অর্ধেককে সুপেয় পানি সরবরাহ করে পর্বত। এ ছাড়াও গাছপালা এবং প্রাণীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। ভাষা ও ঐতিহ্যের দিক থেকে বৈচিত্র্যময় সম্প্রদায়ের আবাসস্থলও এগুলো।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.