বিজয় দিবসে মাঠে নামছেন সাবেক ক্রিকেটাররা
প্রতিবছর বিজয় দিবসে প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করে বিসিবি। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আগামী ১৬ ডিসেম্বর শহীদ মুশতাক একাদশ এবং শহীদ জুয়েল একাদশের হয়ে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারররা মাঠে নামবেন। যেখানে খেলবেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনরাও।
১৬ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় শুরু হবে এ ম্যাচটি মিরপুর শেরে-ই বাংলা স্টেডিয়ামে। দুই দলের স্কোয়াড আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে বিসিবি। ম্যাচের টসের পর ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হবে এমনটি জানিয়েছে বিসিবি।
শহীদ জুয়েল ও শহীদ মুশতাক একাদশ নামে দুই দলে বিভক্ত হয়ে লড়বেন সাবেক ক্রিকেটাররা। মুক্তিযুদ্ধের দুই বীর শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল ও শহীদ মুশতাক আহমেদের স্মরণে ১৯৭২ সাল থেকে প্রতি বছর এই প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হচ্ছে।
শহীদ জুয়েল ছিলেন আজাদ বয়েজ ক্লাবের উদ্বোধনী ব্যাটার। খেলার মাঠের আক্রমণাত্মক এই ব্যাটার মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্ত্র হাতে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাক হানাদার বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন তিনি।
শহীদ মুশতাক ছিলেন একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক। আজাদ বয়েজ ক্লাবের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তার এই প্রিয় কর্মস্থলের কাছেই ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছিলেন তিনি।
শহীদ মুশতাক একাদশ: মেহেরাব হোসেন অপি, তুষার ইমরান, হাবিবুল বাশার সুমন, নিয়ামুল রশিদ রাহুল, সেলিম শাহেদ, মোহাম্মদ সেলিম, মোর্শেদ আলি খান, হাসানুজ্জামান ঝড়ু, ইহসানুল হক সেজান, সাজ্জাদ আহমেদ শিপন, শফিউদ্দিন আহমেদ বাবু, খান আব্দুর রাজ্জাক, মিজানুর রহমান বাবুল, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মোহাম্মদ আলি।
শহীদ জুয়েল একাদশ: জাভেদ ওমর বেলিম, খালেদ মাসুদ পাইলট, মুশফিকুর রহমান বাবু, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আকরাম খান, আনোয়ার হোসেন, খালেদ মাহমুদ সুজন, হাসান তামিম, ডলার মাহমুদ, ফাহিম মুনতাসির, রবিউল ইসলাম, ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স, সাজেদুল ইসলাম, এ এস এম রকিবুল হাসান।