কুমিল্লাকে হারিয়ে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন তামিমের ফরচুন বরিশাল

কাইল মায়ার্স তাণ্ডবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে ভিক্টোরিয়ানসকে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা ঘরে তুলেছে ফরচুন বরিশাল। এর আগে তিনবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা না পাওয়ার বেদনা ছিল বরিশালের। অবশেষে সেই ক্ষতে তারা প্রলেপ দিতে সক্ষম হলো। 

শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে অঙ্কনের ৩৮ ও শেষ দিকে রাসেলের ১৪ বলে ২৭ রানে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। জবাবে ৬ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বরিশাল। 

কুমিল্লার দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ সংগ্রহ পায় বরিশাল। দুই উদ্বোধনী ব্যাটার তামিম ইকবাল ও মেহেদি মিরাজ ৭৬ রানের জুটি গড়েন। তামিম ব্যক্তিগত ২৬ বলে ৩ ছক্কা ও সমান চারে ৩৯ রান সংগ্রহ করে মঈন আলির বলে বোল্ড হলে ভাঙে জুটি। তামিমের বিদায়ের ৬ রান পরই বিদায় নেন আরেক ওপেনার মেহেদি মিরাজ। তখন বরিশালের রান ৮২। এরপর তৃতীয় উইকেটে কাইল মায়ার্স ও মুশফিকুর রহিম ৫৯ রানের জুটি গড়েন। 

এরপর দলীয় ১৪১ রানে মায়ার্সকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা মুস্তাফিজ। তার আগে মায়ার্স ৩০ বলে ২ ছক্কা ও ৫ চারে করেন ৪৬ রান। মায়ার্সের বিদায়ের তিন রান পরেই মুশফিককে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মুস্তাফিজ। ম্যাচে এটি ছিল ফিজের দ্বিতীয় শিকার। পঞ্চম উইকেটে মিলার ও মাহমুদউল্লাহ মিলে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। 

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বরিশালের বোলারদের তোপে পড়ে কুমিল্লা। দলীয় ৬ রানেই সুনীল নারাইনকে হারায় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন-হৃদয় জুটি গড়ার আগেই ব্যক্তিগত ১৫ রানে ফুলারের বলে বিদায় নেন তিনি। হৃদয়ের বিদায়ের ১২ রান পর ব্যক্তিগত ১৬ রান করে ফুলারের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন লিটন।

পুরো টুর্নামেন্টে নিষ্প্রভ ক্যারিবিয়ান জনসন চার্লস শুরুতে দুই ছক্কা মেরে বড় কিছুর আভাস দিলেও জ্বলে উঠতে পারেননি। ওবেদ ম্যাককয়কে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে সহজ ক্যাচে থামেন ১৭ বলে ১৫ করে।

কুমিল্লা এদিন পাঁচে নামিয়েছিল মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। এই ব্যাটার ১৭তম ওভার পর্যন্ত টিকে থাকলেও খেলেছেন মন্থর গতিতে। তার সঙ্গে জুটি গড়তে না পেরে রান আউটে কাটা পড়েন মঈন আলি। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডারও এবার বিপিএলে এসে হতাশ করেছেন কুমিল্লাকে।

জাকের আলী ২৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। রাসেল শেষ দিকে ঝড় তুললেও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের করা শেষ ওভার কাজে লাগাতে পারেননি। ১৪ বলে ৪টি ছক্কায় অপরাজিত ২৭ রান করা ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার এই ওভারে ৩টি ডট দেন, শুরুতে সিঙ্গেলও নিতে চাননি। ৩টি ওয়াইড ও একটি করে নো ও বাই হওয়ার পরও এই ওভার থেকে মাত্র ৭ রান আসে। বরিশালের জেমস ফুলার ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান ম্যাচসেরা মেয়ার্স, সাইফউদ্দিন ও ম্যাককয়।   

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.